এবিএনএ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। আজ শনিবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অবিভাবক ফোরাম’ কর্তৃক আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেবে কিন্তু হল খুলবেন না, এর থেকে বড় ভুল হতে পারে? ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে? মাটিতে বসে থাকবে? সংসদে আজ পরীমনি নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখি? এই ভুলের সংশোধন কীভাবে হবে? এই ভুলের সংশোধন তারা (সরকার) করবে না। বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার। এই সরকারের সকল সিদ্ধান্ত ভুল হবে, এটায় স্বাভাবিক। আজ সব কিছু খোলা। বাজার খোলা, ব্যাংক খোলা, অফিস খোলা। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তিনি বলেন, আগে গ্রামের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা পেত। আমাদের আমলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মাত্র আটজন ঢাকা শহরের ছিলাম। বাঁকি সবাই গ্রাম থেকে এসেছিল। তারা আমাদের থেকে পরীক্ষায় ভালো করতেন। আজ সেই সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে নাগরিকের ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, উনি জানেন আজ যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়, যদি হলগুলো খুলে দেওয়া হয়, তাহলে হলে বিরোধী দলীয় ছাত্ররা ঢুকবে। তখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ থাকতে পারবে না, ডিবির লোক থাকে পারবে না। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনানে বিরোধী দলীয় প্রোগতিশীল ছাত্রদের দখলে যাবে। তারা বলবে ভোট চাই, শিক্ষা চাই, ওষুধ চাই, টিকা চাই। করোনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই, আমরা গরীব মানুষের মুক্তি চাই, অর্থ চাই, অন্ন চাই। কিচ্ছু দিতে পারবে না এরা (সরকার)। এই কারণে আমরা যতই কথা বলি না কেনে, ওরা (সরকার) কোনো দাবি মানবে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলম এহাসুল মিলন, ডাকসুর সাবেক এপিএস নাজিম উদ্দিন আলম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, শিক্ষক-কর্মচারী-অবিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম ভুঁইয়া, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, কৃষক দলের মিয়া মো. আনোয়ার, মানুষ বাঁচাও দেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।